এজমা

হাঁপানির আক্রমণ

হাঁপানির আক্রমণ তথন ঘটতে পারে যখন আপনি এর একটা কারণের সংস্পর্শে আসেন| শ্বাসনালীর চারপাশের মাংসপেশী হঠাৎ করে আঁটসাট হয়ে যায় এবং শ্বাসনালীর ভিতরের আবরণ দ্বারা অতিরিক্ত মিউকাস নিঃসরন হতে থাকে| এই সব উপাদান আপনার লক্ষণগুলিকে হঠাৎ করে খারাপ করে| হাঁপানি আক্রমণের লক্ষণগুলি হল:    

  • নিঃশ্বাসে হাঁফ ধরা

  • নিঃশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ

  • তীব্র কাশি

  • বুকে চাপ ধরা

  • উদ্বেগ

আগেই লক্ষণগুলি চিনে নিয়ে, আপনি একটা হাঁপানির আক্রমণ ঠেকাতে পারেন, বা এর অবস্থা আরও খারাপ হওয়া আটকাতে পারেন| হাঁপানির একটা তীব্র আক্রমণ জীবনের প্রতি হুমকিদায়ী জরুরী অবস্থা হতে পারে|

 

হাঁপানি আক্রমণের সময় কি করতে হবে? 

যদি আপনি ওষুধ নিয়মিতভাবে আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রক ইনহেলার নিয়ে চলেন, তাহলে আপনার হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম| যখন আপনি বা আপনার আশেপাশের কেউ হাঁপানিতে আক্রান্ত হন, প্রথম যা করতে হবে তা হলো শান্ত ও নিরুদ্বেগ থাকুন, এবং তারপরে এই ধাপগুলি অনুসরণ করুন|  

  • সোজা হয়ে বসুন এবং আপনার জামা কাপড় আলগা করে দিন|

  • কোন রকম দেরী না করে আপনার প্রতি সুপারিশকৃত রিলিভার ইনহেলার নিন| 

  • যদি দেখেন যে রিলিভার ইনহেলার ব্যবহারের ৫ মিনিটের মাথায় কোন আরাম পাচ্ছেন না, আপনার চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থানুসারে রিলিভারের অন্য আর একটি ডোজ নিন|

  • যদি তখনও কোন আরাম না হয়, এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে যে আপনি আপনার চিকিৎসককে কল করুন বা দেরী না করে নিকটতম হাসপাতালে সাক্ষাৎ করুন| আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা না করে রিলিভার ইনহেলার এর ডোজ অতিক্রম করবেন না|

যদি আপনার বা আপনার আশেপাশের কারওর মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে নিকটতম হাসপাতালে সাক্ষাৎ করাটা খুব জরুরী:

    • বিবর্ণ [নীল বা ধূসর] ঠোঁট, মুখ, বা নখ

    • নিঃশ্বাস নিতে অত্যধিক কষ্ট

    • কথা বলতে বা হাঁটাচলা করতে কষ্ট

    • নিঃশ্বাসের কষ্টের কারণে অত্যধিক উদ্বেগ বা আতঙ্ক

    • বুকে ব্যাথা

    • দ্রুতগতিসম্পন্ন নাড়ি এবং একটা ফ্যাকাসে, ঘর্মাক্ত মুখমন্ডল

 

হাঁপানির আক্রমণ কমে যাওয়ার পরে, আপনার হাঁপানি মোকাবিলা পরিকল্পনার বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিন, যাতে ভবিষ্যতে সমস্ত আক্রমণ আপনি ঠেকাতে পারেন| 

Please Select Your Preferred Language